রমজান মাস ইসলামিক বরকতময় মাস যা মুসলিমদের আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য এবং সৎপথে চলার শিক্ষা দেয়। রোজা রাখার মাধ্যমে মানুষ কেবল শরীরিক তৃপ্তি থেকে বিরত থাকে না বরং আত্মিক উন্নতির জন্য নিজেদের মানসিক শক্তি, সহনশীলতা ও প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে” একটি হৃদয়স্পর্শী গান যা রোজার পর ঈদের আনন্দের সঙ্গে একত্রিত হয়ে মানবজাতির জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে আসে। রোজার শেষে ঈদুল ফিতরের আনন্দের সাথে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের আশায় সকলের জীবনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আসুক—এই প্রার্থনাই যেন আমাদের সকলের অন্তরে থাকে।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে
-কবি কাজী নজরুল ইসলাম-
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাকিদ।।
তোর সোনাদানা বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ,
দে জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙ্গাইতে নিঁদ।।
তুই পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে,
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।।
আজ ভুলে গিয়ে দোস্ত দুশমন হাত মিলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা নিত- উপবাসী,
সেই গরীব মিস্কিন দে যা কিছু মফিদ।।
ঢাল হৃদয়ের তোর তশতরীতে শিরনী তৌহিদের,
তোর দওত করবুল করবেন হযরত, হয় মনে উমিদ।।
তোরে মারল ছুঁড়ে জুড়ে ইঁট পাথর যারা,
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গ’ড়ে প্রেমেরি মসজিদ।।
রমজান মাস হলো আত্মশুদ্ধির এক অনন্য সময়। এক মাসের এই ধার্মিকতা ও সংযমের পর রোজার শেষে আসে ঈদুল ফিতর। গানটি সেই ঈদের আনন্দ এক নতুন জীবন ও আল্লাহর রহমতের প্রতীক। রোজা রাখার মাধ্যমে আমরা কেবল পেটের ক্ষুধা নিবারণ করি না বরং আত্মার ক্ষুধা মেটানোর চেষ্টা করি। ঈদ আসে এক নতুন আশা, সুখ, এবং শান্তির বার্তা নিয়ে। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মানবিকতা, দয়া ও পরোপকারের গুরুত্ব। রোজার শেষে ঈদের দিনে সবাইকে একত্রিত হয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত।