তারাবিহ নামাজ রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এ নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে তারাবীহ সালাত আদায় করেছেন এবং সাহাবীদেরকেও তা আদায় করতে বলেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবীহ নামাযের ফযীলত ও মর্যাদা সম্পর্কে বলেছেন, “যে ব্যক্তি রমজানে তারাবীহ নামায পুণ্য অর্জনের আশায় শেষ করে তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।” মুসলিম উম্মাহ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে তারাবির নামাজ আদায় করবে। দীর্ঘ এক বছর পর রমজান এলে রাতের বেলায় তারাবির নামাজ ও তারাবির নামাজের দোয়া পড়তে হয়। হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে-
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রাতে (তারাবিহ) ঈমানের সঙ্গে ও সওয়াবের নিয়তে নামাজ পড়ে, তার আগের জীবনের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। সুবহানাল্লাহ!
তারাবির নামাজের দোয়া
রমজানের শুরুতে বিশ্বাসী মুসলমানরা তারাবির নামাজের দোয়া শেখা বা প্রস্তুত করাকে গুরুত্ব দেন। তাই তারাবির নামাজের প্রস্তুতির জন্য তারাবির নামাজের দোয়া তুলে ধরা হল। চার রাকাত তারাবির নামাজের পর বিশ্রাম বা বিরতির সময় জনপ্রিয় এ দোয়াটি পড়তে হয়। যা দেশের প্রায় সব মসজিদেই পঠিত হয়। আর তা হল-
سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
উল্লেখ্য, তারাবির নামাজের ৪ রাকাত পরের দোয়াটি ব্যাপক জনপ্রিয়। তবে তারাবির নামাযের সাথে এই নামাযের কোন সম্পর্ক নেই।
এটা এমন নয় যে আপনি যদি এই নামাজ না জানেন বা আপনি যদি তারাবির নামাজ না পড়েন তবে আপনি নামাজ পড়বেন না। বরং যে কোন নামায পড়া যাবে। তবে এ সময়ের মধ্যে কুরআন-সুন্নাহ, তওবা ও ইস্তেগফারের দোয়া পাঠ করা উত্তম।
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমাদের বাংলাদেশে তারাবির নামাযে চার রাকাত পরে একটি দোয়া পড়া হয়, আসলে সহীহ হাদীসের কোথাও এই দোয়া পড়ার নিয়ম নেই। অনেকে মনে করেন তারাবি নামাজের চার রাকাত পর এই দোয়াটি (সুবহানাজিল মুলকি) না পড়লে হয়তো নামাজ হবে না।
যেহেতু আমাদের বাংলাদেশে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত পড়ানো হয়, তাই নামাজের সময় একটু বিশ্রাম নেওয়া জরুরী, সেই সময়ে আপনি চাইলে তওবা ইস্তেগফার বা সাইদুল ইস্তেগফারও পড়তে পারেন। আল্লাহ আমাদের সঠিক টা বুঝার ও মানার তৈফিক দান করুন। আমিন।।