সুরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনুল কারিমের সর্বপ্রথম সুরা। পবিত্র কোরআনের পূর্ণাঙ্গ সুরা হিসেবে এটিই প্রথম নাজিল হয়েছে। এই সুরটি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রারম্ভিক বছরগুলোয় নাযিলকৃত অর্থাৎ মাক্কী জীবনে অবতীর্ণ একটি সুরা। এর আয়াত সংখ্যা- ৭, রুকুর সংখ্যা- ১, শব্দ- ২৫ এবং বর্ণ- ১১৩। ফাতিহা শব্দের অর্থ আরম্ভ, শুরু, উদ্বোধন, উদঘাটন প্রভৃতি। ধারাবাহিকতার ভিত্তিতে এ সুরার নামকরণ করা হয়েছে সুরা ফাতিহা। সুরা ফাতিহা এই সূরার সবচেয়ে পরিচিত নাম। তারপরও স্থান, মর্যাদা, বিষয়বস্তু, বাগধারা ইত্যাদির দিক থেকে সুরা ফাতিহার আরও কিছু নাম রয়েছে এবং প্রতিটি নামের সাথে সূরার সামঞ্জস্য রয়েছে। সূরা ফাতিহার বিখ্যাত নামগুলো হল: ১. ফাতিহাতুল কিতাব, ২. সালাত, ৩. আল হামদ, ৪. উম্মুল কিতাব, ৫. উম্মুল কুরআন, ৬. আসাবুল মাসানী, ৭. আল কুরআনুল আজিম, ৮. আশশিফা, ৯. আল-আসাস, ১০. আল ওয়াফিয়া, ১১. আল কাফিয়া। ১২. আদ্দোয়া, ১৩. আল-মুনাজাত, ১৫. আত্তাফভিজ।
সুরা ফাতিহা
আরবিঃ بِسْمِ اللہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
অনুবাদঃ পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে (শুরু করছি)
(১)
আরবিঃ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
উচ্চারণঃ আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন
অনুবাদঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
(২)
আরবিঃ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ আর রাহমানির রাহিম
অনুবাদঃ যিনি অত্যন্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
(৩)
আরবিঃ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
উচ্চারণঃ মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
অনুবাদঃ যিনি বিচার অধিকর্তা (মালিক)।
(৪)
আরবিঃ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
উচ্চারণঃ ই্য়াকানাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাইন
অনুবাদঃ আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই কাছে সাহায্য প্রার্থনা করি।
(৫)
আরবিঃ اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
উচ্চারণঃ ইহ দিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম
অনুবাদঃ আমাদেরকে সরল পথ দেখাও।
(৬)
আরবিঃ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ
উচ্চারণঃ সিরাতাল লাযিনা আনআমতা আলাইহিম
অনুবাদঃ সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ।
(৭)
আরবিঃ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلا الضَّالِّينَ َ
উচ্চারণঃ গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দুয়ালিন
অনুবাদঃ সেইসব লোকের পথে নয় যারা তোমার অভিশাপগ্রস্ত এবং [তাদের পথেও] নয় যারা পথভ্রষ্ট।
কোরআনের সারসংক্ষেপ
সূরা ফাতিহাকে পুরো কোরআনের সারসংক্ষেপ বলা হয়। এই সূরায় সমগ্র কুরআনের সারাংশ তুলে ধরা হয়েছে। মহান আল্লাহ চিন্তা ও অর্থের সাগরের বিশাল জলরাশিকে একটি ছোট ট্যাঙ্কে ভরে দিয়েছেন। কুরআনের অবশিষ্ট ১১৩টি সূরার মধ্যে সুরা ফাতিহা সবচেয়ে ব্যাপক। কারণ সমগ্র কুরআনে মূলত তিনটি বিষয় আলোচিত হয়েছে। যেমন আল্লাহ তায়ালার পরিচয়, আল্লাহ পাকের সাথে মানুষের সম্পর্ক, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মানুষের করণীয় ও বর্জণীয়। সূরা ফাতিহায় এই তিনটি বিষয় খুব সংক্ষেপে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই রূপক অর্থে সুরা ফাতিহা পবিত্র কোরআনের জননী হিসেবে পরিচিত।
সুরার বিষয়বস্তু
সূরা ফাতিহার সাতটি আয়াতের প্রথম চারটি আয়াত আল্লাহর প্রশংসা বর্ণনা করা হয়েছে এবং শেষ তিনটি আয়াতে বান্দার প্রার্থনার কথা বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, তিনি পরম করুণাময়, পরম দয়ালু। তৃতীয় আয়াতে বলা হয়েছে, কর্ম দিবসের মালিক তিনি। চতুর্থ আয়াতে বলা হয়েছে, আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, আমরা কেবল তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। পঞ্চম আয়াতে বলা হয়েছে, আমাদের সরল পথ দেখাও। ষষ্ঠ আয়াতে বলা হয়েছে, “আমাদেরকে তাদের পথ দেখাও যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছ।” সপ্তম আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমাদেরকে তাদের পথ দেখাও না যারা রাগান্বিত ও পথভ্রষ্ট।
উক্ত সূরা পাঠের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য
সূরা ফাতিহা সম্পূর্ণ কুরআনুল কারীমের জ্ঞানে সমৃদ্ধ। এতে আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করা হয়েছে। ইবাদত-বন্দেগির জন্য বান্দাদের পক্ষ থেকে স্বীকারোক্তি দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহর কাছে হেদায়েতের জন্য প্রার্থনা, নিজের অক্ষমতাকে স্বীকার করে সেই নেয়ামত প্রতিষ্ঠার ঈমান-সমৃদ্ধ বর্ণনা এই সূরার মাধ্যমে বান্দাদের কথায় প্রকাশ পায়। সাথে সাথে এই সূরায় কেয়ামত দিবসের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। কোরআনের একটি অক্ষর পাঠ করলে ১০টি নেকী পাওয়া যায়। সূরা ফাতিহায় ১২৫টি অক্ষর রয়েছে। যে ব্যক্তি ১২৫টি হরফ পড়বে তার আমলনামায় ১২৫টি নেকী দেওয়া হবে। ইমাম কুরতুবী রহ. তিনি বলেনঃ সূরা ফাতিহার বিশেষ মর্যাদা হল আল্লাহ তায়ালা নিজের ও বান্দাদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন। এছাড়া আল্লাহর নৈকট্য লাভ সম্ভব নয়। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে ‘উম্মুল কুরআন’। পবিত্র কোরআন মূলত তিনটি বিষয়ে বিন্যস্ত। তাওহিদ, আহকাম ও নসিহত। তাওহীদের পূর্ণ অস্তিত্বের কারণে সূরা ইখলাস কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের মর্যাদা পেয়েছে। কিন্তু সূরা ফাতিহায় তিনটি জিনিসের সমন্বয়ের কারণে এটিকে ‘উম্মুল কুরআন’ হওয়ার সর্বোচ্চ মর্যাদায় ধন্য করা হয়েছে। (তাফসীরে কুরতুবী : ১৪৮)
একজন মুমিন মুসলমানের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ কোরআনের প্রার্থনা ও অনুশীলন হল সূরা ফাতিহা। এই সূরায় আল্লাহ নিজের এবং বান্দাদের মধ্যে সবকিছু ভাগ করে দিয়েছেন। তাই সূরা ফাতিহা ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব নয়। এই সূরাটির গুরুত্ব সম্পর্কে হাদীসে বেশ কিছু বর্ণনা রয়েছে:
হজরত উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: একে বলা হয় ‘আস-সাবুল মাছানী’ (যা সাতটি আয়াত বারবার পাঠ করা হয়)। আমার ও আমার বান্দার মধ্যে ভাগ করা হয়েছে। আর আমার বান্দার জন্য সে যা চায় তাই আছে। (নাসাঈ, মুসনাদে আহমাদ)
হজরত সাঈদ ইবনে মুআল্লা (রা.) বর্ণনা করেন যে, তিনি মসজিদে সালাত আদায় করছিলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে ডাকলেন। কিন্তু তিনি তার ডাকে সাড়া দেননি। অতঃপর নামায শেষ হলে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমি নামায পড়ছিলাম।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ কি বলেননি?’ ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দাও যখন তোমাকে ডাকা হয়। (সূরা আল-আনফাল: ২৪)
তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগে আমি অবশ্যই তোমাকে কোরআনের সবচেয়ে মহান সূরাটি শিখিয়ে দেব। তারপর আমার হাত ধরল। তিনি যখন মসজিদ থেকে বের হতে চাইলেন, আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম, “আপনি কি আমাকে বলনি যে আমি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সূরাটি শেখাব?”
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূরাটি হল: الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ। এটিই সাবউল মাছানি এবং কুরআনুল আজিম। যা আমাকে দেয়া হয়েছে।’ (নাসাঈ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)
– হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, একদিন জিব্রাইল (আ.) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ জিবরীল (আঃ) উপর থেকে আওয়াজ শুনতে পেলেন এবং আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, এটি আকাশের একটি দরজা যা আগে কখনো খোলা হয়নি।
দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা নেমে এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, ‘দুটি আলোর সুসংবাদ নিন। যা আপনাকে প্রদান করা হয়েছে। আপনার পূর্বে অন্য কোন নবীকে দেওয়া হয়নি। তারপর-
– সুরা ফাতিহা ও
– সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত।
আপনি সে দু’টি থেকে কোনো অক্ষর পড়লেই তার প্রতিদান আপনাকে প্রদান করা হবে।’ (মুসলিম, ইবনে হিব্বান)
তাই মুমিন মুসলমানের উচিত ইবাদত ও রোগ নিরাময়ে সূরা ফাতিহার আমলে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখা। বিশুদ্ধভাবে সুরা ফাতিহা শেখা। কেননা সুরা ফাতিহা ছাড়া নামাজ হয় না। আর নামাজের প্রত্যেক রাকাতেই এই সুরা পড়তে হয়।
আল্লাহর সাথে প্রেমের সংলাপ
সূরা ফাতিহার বৈশিষ্ট্য বলে শেষ করা যাবে না। নামাজে এই সূরাটি পড়ার অর্থ হল আল্লাহর সাথে প্রেম করা। বিশিষ্ট সাহাবী হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, সূরা ফাতিহা পড়। বান্দা যখন বলে, আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। যখন সে বলে, আর-রাহমানির রাহীম, তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার গুণাবলী বর্ণনা করেছে। বান্দা যখন বলে, শালিকি ইয়াউমিদ্দীন। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার মর্যাদা বর্ণনা করেছে। বান্দা যখন বলে, ইয়াকানা ‘বুদু ওয়া ইয়াকানাস্তাইন, তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মধ্যেকার ব্যাপার। তাই আমার বান্দার জন্য আছে যা সে চায়। বান্দা যখন বলে, ইহদিনাস সিরাতিল মুস্তাকিম – শেষ পর্যন্ত)। আল্লাহ বলেন, এটা আমার বান্দার জন্য। তাই আমার বান্দার জন্য আছে যা সে চায়। (মুসলিম, হাদিস : ৩৯৫)
এই সূরার আমলের বৈশিষ্ট্য
সূরা ফাতিহা সকল রোগের মহাঔষধ। এই সূরার অনুশীলনের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। সূরা ফাতিহার একটি বৈশিষ্ট্য হল:
হজরত জাফর সাদেক (রা.) বর্ণনা করেন যে, তিনি ৪০ বার সূরা আল-ফাতিহা পড়ার পর পানির ওপর শ্বাস নিলেন এবং জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির মুখে ছিটিয়ে দিলেন। এ সুরার বরকতে আল্লাহ তাআলা জ্বর দূর করে দেন।
> ফজরের সুন্নাত ও ফরজের নামাজের মধ্যবর্তী ৪১ বার সূরা ফাতেহা পাঠ করে চোখের উপর ফুঁক দিলে চোখের ব্যথা উপশম হয়।
> শেষ রাতে ৪১ বার সূরা ফাতিহা পড়ার পর আল্লাহ বান্দার রিজিক বাড়িয়ে দেন।
> নিয়মিত ৪০ দিন সূরা ফাতিহা পাঠ করে পানিতে ফুঁক দিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে পান করালে আল্লাহ সেই ব্যক্তির অসুস্থতা দূর করে দেন। কেউ কেউ চিনির রেকাবিতে গোলাপ, জাফরান ও কস্তুরী দিয়ে সূরাটি লিখে পানি দিয়ে ধুয়ে ৪০ দিন পান করলে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।
> দাঁতের ব্যথা, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথার জন্য এই সূরাটি ৬ বার পাঠ করে শ্বাস নিলে আল্লাহ এসব ব্যথা দূর করে দেন।
এর প্রমাণিত সময়কাল
সূরা ফাতিহার আমল প্রমাণিত। যে কোন রোগে এই সূরা কার্যকর। হাদীসে বর্ণিত আছেঃ
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, (একবার) একদল সাহাবী (পানির জন্য) একটি কূপের কাছে গেলেন। তাদের একজনকে (তৎকালীন কুপওয়ালারা) বিচ্ছু বা সাপে কামড়েছিল।
কুপওয়ালা থেকে এক লোক এসে বলল, তোমার কাছে মন্ত্র জানা লোক আছে? জলের ধারে বিচ্ছু বা সাপে কামড়ানো লোক আছে।
জনৈক সাহাবী (হযরত আবু সাঈদ খুদরী) গিয়ে কিছু ভেড়ার বিনিময়ে তার উপর সূরা ফাতিহা পাঠ করলেন এবং ফুঁ দিলেন (শ্বাস)। সে (সাপ বা বিচ্ছু দংশনকারী) সুস্থ হয়ে উঠল এবং সে ভেড়া নিয়ে তার সঙ্গীদের কাছে এলো।
তারা (সাহাবীগণ) এটা অপছন্দ করলেন এবং বললেন, আপনি কি আল্লাহর কিতাব বিনিময় করেছেন?
অবশেষে যখন তারা মদিনায় পৌছালো তখন তারা নবীকে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিনি আল্লাহর কিতাবের বিনিময় গ্রহণ করেছেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা যা কিছু বিনিময় কর তার মধ্যে আল্লাহর কিতাব সবচেয়ে বেশি উপযোগী। (বুখারী)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তুমি ঠিক বলেছ। ছাগলের একটা অংশ আমার জন্য রাখ। (বুখারী ও মুসলিম)
অবশ্যই এই সূরা পাঠ করলে রোগ সেরে যাবে। কিন্তু গভীর বিশ্বাসই প্রধান শর্ত। আল্লাহর প্রতি সঠিক বিশ্বাস ও বিশ্বাস ব্যতীত কোন কিছুই অর্জিত হবে না।
এই সূরায় আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাঁর কাছে সব ধরনের সাহায্য চাওয়ার শিক্ষার অনুশীলন ও বিশ্বাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অসুস্থতা ও সমস্যা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সুরা ফাতিহা পাঠ ও আমলের মাধ্যমে সকল ফজিলত ও বরকত লাভ করার তাওফীক দান করুন। সূরার হক অনুযায়ী ইবাদত ও সাহায্য প্রার্থনা করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সুরা ফাতিহার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝে সে অনুযায়ী আমল করার তৈফিক দান করুক। আমিন।।