জান্নাতের বর্ণনা ও জান্নাতের হুরের বর্ণনা

জান্নাতের বর্ণনা ও জান্নাতের হুরের বর্ণনা

জান্নাতের বর্ণনা ও জান্নাতের হুরের বর্ণনা

জান্নাতের বর্ণনা

জান্নাত লাভের ভাসনা কার না আছে? আমরা প্রত্যেকেই চাই জান্নাত পেতে, কিন্ত কেউই জান্নাত লাভের আমল করতে রাজি না। জান্নাতের নাজ-নেয়ামত ভোগ করতে হলে মহান রবের সন্তষ্টি অর্জন জরুরী। আজ আমরা জান্নাতের বর্ণনা ও জান্নাতের হুরের বর্ণনা, জান্নাতিদের নাজ-নেয়ামত, জান্নাতিদের অবস্থা, জান্নাতের বৃক্ষ, জান্নাতের বাজার, জান্নাতিদের সৌন্দর্য্য ইত্যাদি আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আশা করি, ধৈর্য্য সহকারে অধ্যায়ন করলে উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানা সম্ভব হবে।

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, আমরা হযরত রাসূল (সা) থেকে জানতে চেয়েছিলাম যে, জান্নাত কি জিনিস থেকে বানানাে হয়েছে?
এরশাদ করলেন, পানি থেকে। আমরা আরজ করলাম আমাদের উদ্দেশ্য, জান্নাতের ইমারত সম্পর্কে জানা। এরশাদ করলেন, একটি ইট স্বর্ণের, আরেকটি রৌপ্যের, আর গাঁথুনীর মসল্লা মেশকের। মাটি জাফরানের, কংকর মূতি ও ইয়াকূতের।
যে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে কোন প্রকার নেয়ামত থেকেই নিরাশ ও বঞ্চিত হবে না। সে সব সময় স্থায়ীভাবে জান্নাতে থাকবে কখনাে মৃ্ত্যু আসবে না। তার কাপড় কখনাে পুরান হবে না, যৌবন কখনাে শেষ হবে না।

রাসূল (সা) এরশাদ করলেন, তিন ব্যক্তির দোয়া কবুল করা হয়ঃ
১। ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ বা বিচারকের দোয়া
২। রােযাদারের ইফতারকালীন দোয়া
৩। মজলুমের দোয়া,
তার দোয়া সাঁজের উপর উঠিয়ে নেয়া হয়। আর আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন, কিছু বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তােমায় সাহায্য করব।

জান্নাতিদের অবস্থা

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে যারা সবার আগে জান্নাতে যাবে, তাদের চেহারা (মুখমণ্ডল) চৌদ্দ তারিখের চাঁদের ন্যায় উজ্জল হবে, তারপরের (ব্যক্তিদের চেহারা) তীব্রোজ্জল নক্ষত্রের মত হবে, অতঃপর একের পর এক বিভিন্ন অবস্থার হবে। জান্নাতে পেশাব-পায়খানা হবে না, নাক-মুখে শ্লেষ্মাও হবে না। চিরুনী স্বর্ণের, আংটী ‘উদ’ এর তৈরী হবে। ঘাম মেশকের মত সুগন্ধিযুক্ত হবে। সবার দেহাকৃতি এক সমান হবে । হযরত ঈসা (আঃ)-এর মত ৩৩ বছরের যুবক হবে, হযরত আদম (আঃ)-এর মত ৬০ হাত লম্বা হবে এবং দাড়ি বিহীন হবে । মাথা, ভ্রূ ও চোখের পলক ছাড়া আর কোথাও চুল হবে না। রং ফর্সা এবং পােশাক সবুজ হবে। কোন ব্যক্তি দস্তরখানা বিছালে সামনে থেকে একটি পাখী এসে বলবে, হে আল্লাহর ওলী! আমি সালসাবিল নদীর পানি পান করেছি। আরশের নিচে জান্নাতের বাগানে চারন করেছি এবং অমুক অমুক ফল খেয়েছি। তখন সে জান্নাতী ওই পাখীর এক পার্শ্ব থেকে পাকানাে এবং অপর পার্শ্ব থেকে ভূনা গােশত খেতে পারবে।

একজন জান্নাতী সওরটি পােশাক পরিহিত হবে। প্রত্যেক পােশাকের রং ভিন্নতর হবে। তার আঙ্গুল সমূহে দশটি আংটি হবে।

 

জান্নাতের নাজ-নেয়ামত

হযরত সােহাইব (রাঃ) বলেন যে, হুজুর আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেনঃ যখন জান্নাতীরা জান্নাতে এবং দোযখীরা দোযখে চলে যাবে, তখন একজন ঘােষক ডাক দয়ে বলবেন, হে জান্নাতীগণ! আল্লাহ পাক তােমাদের কাছে (যে) ওয়াদা করেছিলেন, সে ওয়াদা এখন পূরণ করতে চান। জান্নাতীগণ বলবেন, সেটা আবার কি? আল্লাহ কি আমাদের মীজান ভারী করে দেননি? আমাদের চেহারা কি উজ্জ্বল করেননি? আমাদেরকে কি জান্নাতে প্রবেশ করান নি? এবং দোযখ থেকে কি মুক্তি দেননি? (তাহলে আবার কি ওয়াদা বাকী রইল)।
আল্লাহর রাসূল (সা)-এর এরশাদ মুতাবিক জানা যায় যে, এ অবস্থায় তখন পর্দা উঠিয়ে দেয়া হবে, ফলে জান্নাতীগণ আল্লাহর দীদারে সৌভাগ্যবান হবেন। আল্লাহর কসম! জান্নাতীগণের জন্যে এর চেয়ে অধিক প্রিয় এবং উত্তম নেয়ামত কোনটাই হবেনা। (হে রাহমানুর রাহীম আল্লাহ আমাদের সকলকে এ নিয়ামত নসীব করুন । – আমীন)

জান্নাতের বৃক্ষ

হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) এরশাদ করেন যে, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে যে, যার ছায়ায় জান্নাতীরা শত শত বছর চললেও তা শেষ করতে পারবে না। এবং জান্নাতে এমন এমন নেয়ামত আছে যে, যা কোন চোখ কোন দিন দেখেনি, কোন কান কোন দিন শুনে নি, কোন হৃদয় কোনদিন কল্পনায়ও ভাবতে পারেনি।

জান্নাতে তুবা নামে একটি বৃক্ষ হবে, প্রত্যেক ঘরে এটার ডাল থাকবে, এতে বিভিন্ন ধরনের ফল ধরবে এবং উটের মত বড় পাখী এসে এতে বসবে। যদি কোন জান্নাতী কোন পাখী (খাইবার) আশা করে, তাহলে তা তৎক্ষণাৎ দস্তরখানে এসে পৌঁছে যাবে। সে ব্যক্তি এই একই পাখীর এক পার্শ্ব থেকে শুকনাে এবং অপর পার্শ্ব থেকে ভূনা গােশত খাবে, অতঃপর উক্ত পাখি উড়ে চলে যাবে। (সােবহানাল্লাহ্)

জান্নাতের বাজার

হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেনঃ জান্নাতে বাজার বসবে, কিন্তু এতে ক্রয়-বিক্রয় হবে না, বরং বন্ধু-বান্ধবদের গােল টেবিল বৈঠক হবে, আর দুনিয়ার কথা-বার্তা বলবে যে, কেমন করে দুনিয়ায় এবাদত করতাে, দুনিয়ায় গরীব এবং ধনীদের কি অবস্থা ছিল। মৃত্যু কিভাবে এসেছিল এবং কত মুসীবত পাড়ি দিয়ে, সহ্য করে এখন জান্নাতে পৌঁছেছে।

 

জান্নাতিদের সৌন্দর্য্য

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, জান্নাতীগণের শােভা-সৌন্দর্য্য যথারীতি বৃদ্ধিই হতে থাকবে, দুনিয়ায় তাে ধীরে ধীরে বার্ধক্যে আসতে থাকে, কিন্ত আখেরাতে রূপ-যৌবন বাড়তেই থাকবে।

 

জান্নাতে পেশাব-পায়খানার দরকার হবে না

হযরত যায়দ ইবনে আরকাম (রাঃ) বলেন যে, জনৈক আহলে কিতাব হযরত রাসূল (সাঃ)-এর খেদমতে এসে বলতে লাগলাে, আপনার মতে কি জান্নাতে খানা-পিনার ব্যবস্থা আছে? তিনি রাসূল (সাঃ) ফরমালেন, হাঁ জান্নাতে এক ব্যক্তিকে পানাহার ও সহবাসের ক্ষেত্রে একশত ব্যক্তির শক্তি দেয়া হবে।
সে বলতে লাগলাে, পানাহারের পর তাে পেশাব পায়খানা অবশ্যই হয়ে থাকে, তাহলে জান্নাতের মত পবিত্র স্থানে এমন নােংরা কাজ কিভাবে হবে?
তিনি রাসূল (সাঃ) এরশাদ করলেন, জান্নাতে পেশাব-পায়খানার প্রয়ােজন হবে না, বরং মেশকের সুগন্ধিযুক্ত ঘাম বেরুবে মাত্র, এতেই খানাপিনা সব হজম হয়ে যাবে।

 

জান্নাতের হুরের বর্ণনা

হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, হযরত রাসূলে পাক (সাঃ) এরশাদ করেন যে, বেহেস্তে এমন এক হুর আছে, যার নাম লু’বা। তাকে চারটি উপাদান দ্বারা তৈরী করা হয়েছে। যেমন- মেশক, আম্বর, কর্ফুর ও জাফরান দ্বারা। এবং এই জিনিসকে “মায়ে হায়ওয়ান” (এক প্রকারের বিশেষ পানি) দ্বারা মিশানাে হয়েছে। বেহেস্তের সমস্ত হুর তার উপর আশেক। সে যদি সমুদ্রের কোথাও থুথু ফেলে, তাহলে সমুদ্রের সমস্ত পানি মিষ্ট হয়ে যাবে। তার কপালে লেখা আছে- “যে আমাকে চায়, সে যেন তার মহান রবের আনুগত্য করে”।
হযরত মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, জান্নাতের যমীন রূপার, মাটি মেশকের, এবং তার গাছের শিকড় রূপার আর শাখা-প্রশাখা হবে মূতি ও জবরজদ পাথরের নির্মিত। পাতা ও ফল হবে নিম্নমুখী, মূল হবে উর্ধ্বমুখী। সুতরাং দাঁড়িয়ে, বসে, শূইয়ে যেভাবে খুশী সেভাবেই, এটার ফল চয়ন করতে পারবে।

 

পাঁচটি শর্ত সাপেক্ষে বেহেশতে প্রবেশ করা যাবে
যে ব্যক্তি উক্ত নিয়ামত সমূহ লাভ করতে চায়, সে পাঁচটি বিষয়ে নিয়মিতভাবে আমল করতে থাকবে।
১। সমস্ত গুনাহ থেকে বিরত থাকবে।
২। দুনিয়ার সাধারণ মাল-সম্পদের উপর সন্তুষ্ট থাকবে ।
৩। নেক কাজ ও এবাদত-বন্দেগী করতে নিতান্তই আগ্রহী থাকবে। কেননা আমলের বিনিময়েই জান্নাত লাভের আশা করা যায়।
৪। আল্লাহ তা’আলার নেক বান্দাহদের সাথে ভালবাসা রাখবে, তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে থাকবে, তাদের মজলিশে আসা-যাওয়া করবে, শরীক হবে কেননা তাঁদের সুপারিশও কিয়ামতের দিন কাজে আসবে।
৫। বেশী বেশী করে দোয়া করবে, বিশেষ করে জান্নাত লাভ ও খাতেমা বিল খায়র (ঈমানের সাথে মৃত্যু) হওয়ার জন্যে দোয়া করবে।

 

কৌশলপূর্ণ কথা

১। পরকালের প্রতিদান সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও পার্থিব জগতের প্রতি আসক্ত হয়ে যাওয়া এবং এর উপর নির্ভর করা বােকামী ও মুর্খতা ছাড়া কিছুই নয়।
২। আমলের ছওয়াব জানা থাকা সত্ত্বেও তজ্জন্য চেষ্টা না করা নিজেকে ইচ্ছাকৃত ধ্বংস করার শামিল।
৩। বেহেশতের শান্তি ও আরাম সেই পাবে, যে দুনিয়ার আরাম ছেড়ে দিয়েছে। বেহেশতে সেই ধনী হবে, যে ফালতু দুনিয়া বর্জন করেছে এবং অল্পে তুষ্ট রয়েছে।

জান্নাতের মােহর

হযরত ইয়াহয়া মুয়াজ রাযী (রহঃ) বলেন যে, দুনিয়া ত্যাগ করা কঠিন, এবং জান্নাত ত্যাগ করা আরাে অত্যধিক কঠিন, তবে জান্নাতের মােহর হলাে দুনিয়া ত্যাগ।

হযরত আবু হাযেম (রহঃ)-এর বর্ণনা
হযরত আবু হাযেম (রহঃ) বলেন যে, যদি সমস্ত হৃদয়গ্রাহী বস্তু বর্জন করেও জান্নাত পাওয়া যায়, তবু এটা অত্যন্ত নগন্য মূল্য। অনুরূপ যদি সমস্ত দুঃখ-কষ্ট সহ্য করেও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তবু এটা নিতান্তই তুচ্ছ ও সস্তা। অথচ আল্লাহর জন্যে হাজার হাজার হৃদয়গ্রাহী জিনিসের মধ্যে মাত্র একটি ত্যাগ করলেও জান্নাত পাওয়া যায়। আর হাজার হাজার মুসীবতের মধ্যে মাত্র একটি মুসীবত সহ্য করলেও জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। এটা কতই না সস্তা সওদা, ব্যবসা।

জান্নাত ও জাহান্নামের সুপারিশ

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রহঃ) বলেন যে, যদি কোন ব্যক্তি তিনবার জান্নাত চায়, তাহলে জান্নাত আল্লাহ তা’আলার কাছে সুপারিশ করে যে, হে আল্লাহ! তাকে জান্নাতে দাখিল করে দিন। আর যদি কোন ব্যক্তি তিনবার দোযখ থেকে মুক্তি চায়, তাহলে দোযখ আল্লাহ তা’আলার কাছে আরজ করে যে, হে আল্লাহ! তাকে দোযখ থেকে মুক্তি দিয়ে দিন।
“হে আল্লাহ! আমাদেরকে জান্নাত নসীব করুন”।
“হে আল্লাহ! আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচান”।
জান্নাতে বন্ধু-বান্ধবদের দেখা-সাক্ষাতই তাে অনেক বড় অনগ্রহ, তদুপরি রয়েছে সেখানে অগণিত, অফুরন্ত, অমূল্য নিয়ামত রাজি, আল্লাহু আকবার!

 

জান্নাত লাভের প্রস্ততি

জান্নাতের হাকীকত ও নেয়ামত এবং অবস্থাদী আপনি অধ্যয়ন করেছেন, নিশ্চয়ই জান্নাতে যাওয়ার জন্যে লালায়িত হয়েছেন। তার জন্য বারবার দোয়া ও করে থাকবেন। প্রত্যেক মুসলমানের মনে জান্নাতের আকাংখা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু ঈমান ও নেক আমল ছাড়া জান্নাতের আকাংখা করা বা শুধু দোয়ার উপর যথেষ্ট করা নিজেকে ধােঁকা দেওয়ারই নামান্তর।

তারাই মূর্খ, যারা জান্নাতের আকাংখা করে, অথচ গুনাহ ছাড়ে না, নেক আমল করেনা । মুয়াজ্জিন ডাকে, কিন্তু সে শূয়ে থাকে বা ব্যবসা-বাণিজ্যের উপর নামাযকে কুরবানী করে দেয়। যাকাতের হুকুম হলে জীবন বাঁচায়, রামযান এলে রােযা খেয়ে বসে। হজ্ব ফরজ হলে মালের মুহব্বতে হজ্ব করা ছাড়া মরে যায়। ব্যবসা-বাণিজ্যে হারাম-হালালের পরওয়া করে না, তােমার-আমার টাকা-পয়সা মেরে খেতে মনে বাঁধে না, কুরআন-হাদীস পড়তে বললে দোষের কাজ মনে করে। দুর্বলদের উপর জুলুম অত্যাচার ও অবিচার করে, গরীবদেরকে অত্যাচার করে এবং তাদেরকে বল পূর্বক বেগার খাটিয়ে নেয়। সুদের লেন-দেনকে পছন্দনীয় কাজ মনে করে। এতীমদের মাল খেয়ে যায়, বিধবাদের দুর্বলতায় ফায়েদা উঠায়, একে-অন্যের হক লুটপাট করে, নফল এবাদতে ভয় পায়, এবং আলাহর যিকির থেকে পলায়ণ করে। এসব থাকা সত্ত্বেও জান্নাতের উঁচু মর্যাদার আশা করা। বেয়াকুফী ছাড়া আর কি হতে পারে? সুতরাং যদি জান্নাতে যেতে হয়, তাহলে সারাটি জীবন আল্লাহ ও রাসূল (সা)-এর হুকুম মােতাবিক পরিচালিত করতে হবে। কুপ্রবৃত্তিকে চুরমার করে দিতে হবে। কবি সুন্দর বলেছেন-
“অমনােযােগী থাকা তােমার বৈশিষ্ট্য নয়, দেখ! জান্নাত লাভ করা এত সহজ নয়”।

পরিশেষে বলতে চাই, উপরিউক্ত আলোচনা থেকে তথা জান্নাতের বর্ণনা থেকে এটাই বুঝা যায় যে, জান্নাতের নাজ-নেয়ামত ও জান্নাত লাভের আকাংঙ্খা পূরনে আমাদের সবাইকে আল্লাহ্ রাব্বুল আলা’মিন ও তাঁর প্রেরিত রাসূল (সঃ) এর নির্দেশিত পথে চলা বাধ্যতামূলক। জান্নাতের বর্ণনা মতে, তবেই সম্ভব হবে জান্নাতের অমীয় নেয়ামত সমূহ ভোগ করা। আমরা বেশি বেশি জানবো এবং তা শেয়ার করে বন্ধুদের জানার সুযোগ তৈরী করে দিব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক জানারও বুঝার তৈফিক দান করুন। আমিন।।

 

আরও জানতে ক্লিক করুন:

কবর জিয়ারতের দোয়া

ইসলামে রিয়া অর্থ কি

দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার দোয়া

ইসলামের দৃষ্টিতে সুদ

জানাযার নামাজের নিয়ম

more view

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x
error: Content is protected !!