প্রত্যেক মা-বাবাই চায় তাদের ছোট সোনা-মনিদের মেধাবী করে গড়ে তুলতে। আর তাদের মেধা বিকাশের একটা বড় মাধ্যম হচ্ছে ছোটদের ছড়া কবিতা মুখে মুখে পাঠ করানো এবং মুখস্ত করানো। তাতে শিশু বলতে শিখে এবং ছন্দ আকারে শিখালে শিশু মজা পায় ও শিখার প্রতি আগ্রহ তৈরী হয়। আপনার ছোট সোনা-মনিদের কথা চিন্তা করেই আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ছোটদের ছড়া কবিতা সংগ্রহ করা। আমার এ প্রচেষ্টা তখনই সফল হবে যদি আপনারা এর মাধ্যমে উপকৃত হন। তো চলুন শুরু করা যাক-
ছোটদের ছড়া
আমাদের গ্রাম
শাহনাজ পারভীন
মধুমতি তীর ঘেষে আমাদের গ্রাম
ছায়া ঘেরা মায়া ঘেরা কাব্যিক নাম।
একে বেঁকে দুই পাশে ছবিটার মত
রাস্তার কোল ঘেষে ফোটে অবিরত
কৃষ্ণচূড়ার খোকা জারুলের ফুল;
পাখি ডাকা ভােরে নদী ছাপিয়ে দু’কুল-
তীর ভাঙে- চর গড়ে- সময়ে আবার
জেগে ওঠে- ছবি আঁকে- স্বপ্ন সবার।
স্কুল-কলেজ আর ব্যাংক মাঠ-ঘাট;
বিদ্যুতের আলােতে সে নিখুঁত নিপাট।
আগে ছিল সবকিছু মমতায় ছাওয়া
আমাদের গ্রামে আজ শহরের হাওয়া।
এখন এসেছে গ্রামে বিজলির আলাে
আগে তাে আঁধার ছিল নিকষ কালাে।
বাজারে দোকান পাট আলাে ঝলমল
এখন রিকশা ছাড়া পা দুটো অচল।
নদীতে নৌকা চলে ভাটিয়ালী সুর
বুকের মাঝেই থাকে- নয় তাে সুদূর!
তবু ফলে এই গ্রামে সােনালী ফসল।
আকাশেতে মেঘ করে ঝরে পড়ে জল
শাপলা শালুকে মা’র হাসি রাশি রাশি।
তাই আমাদের গ্রামটাকে খুব ভালবাসি
আমি খুব ভালবাসি…।
একটু বাঁকা ভাঁজ
মনসুর আজিজ
চল না কোথাও হারিয়ে যাই
বিলের ধারে একটুখানি দাঁড়িয়ে যাই
শিশির ভেজা দুর্বাঘাসও মাড়িয়ে যাই
চুপটি করে দিগন্তকে ছাড়িয়ে যাই
আকাশ নীলের মাখন আলােয় হারিয়ে যাই
চাঁদের বাড়ির বন্ধ কপাট নাড়িয়ে যাই
কোলাকুলির হাত দুখানি বাড়িয়ে যাই
আনতে শুধু
জানতে শুধু
মানতে শুধু
রােজার শেষে ঈদের দিনের কাজ;
চাই না পােলাও ফিরনি পায়েশ
নরম সােফার আরাম আয়েশ
ফিলিস্তিনি রােহিঙ্গাদের
কচি গালে চাই যে ঈদের
চাঁদের মতাে একটু বাঁকা ভাঁজ।
গাঁয়ের মানুষ
হেলাল আনওয়ার
সবুজ গাঁয়ে অবুঝ মানুষ
দুধের মত মন
সদ্য ফোটা গােলাপ তারা
সাত মানিকের ধন।
নদীর জলে পদ্ম দোলে
দোলে তাদের বুক
সবুজ গাঁয়ের ধুলায় মিশে
পায় যে হাজার সুখ।
কাদা-জলে করছে তারা
ফুল ফসলের চাষ
কান্না-হাসি নিয়ে তারা
কাটায় বার মাস।
সবুজ গাঁয়ের মাটির মানুষ
মাটিই তাদের আশা
মাটির সাথে গড়ে তারা
গভীর ভালবাসা।
সবুজ গাঁয়ের সােনার মানুষ
আর কি কোথাও আছে?
স্বর্গ যেন হার মেনে যায়
লুটায় পায়ের কাছে।
ছােট্টমণি
মির্জা মাে: আবুল হােসেন
মাগাে আমি ছােট্টমণি আমার কথা শােনাে
দুনিয়াটা কত বড় তা কি তুমি জানাে?
সূর্যটা মা কোথা থাকে কেমন তার ঘর?
কোন আড়ালে কেমনে লুকায় আসে অন্ধকার!
রাতটা হলে আকাশ কোলে কত তারা হাসে
মিষ্টি মধু আলােক রাশির চাঁদটি থাকে পাশে।
চাঁদ-সুরুজ আর তারকারাশি খেলছে কেমন খেলা
সাগর পাহাড় নদীর জলে ভেসে চলে ভেলা।
ইচ্ছে করে জগৎ ঘুরে দেখি নয়ন ভরে
বলাে না মা কোন কারিগর গড়লাে এমন করে?
কিশাের
আনােয়ারুল ইসলাম
আজকে যারা কিশাের, তারা কালকে জাতির কর্ণধার
তাই নিজেকে গড়তে হবে জ্ঞান সাধনায় বারংবার।
তােমরা এখন কুঁড়ি আছাে, ফুটবে যখন ফুল হয়ে-
সেই সুবাসে দেশের কাজে ছুটবে সবাই নির্ভয়ে।
চারদিকেতে আহাজারি, অত্যাচারীর জয়োল্লাস
কেউ শোনে না, হায় রে মানুষ- জীবন জুড়ে নাভিশ্বাস!
কাঁদছে শিশু কাঁদছে নারী সত্য কাঁদে শুধুই আজ
তবু ওরা বেজায় বেকুফ, সীমার যেন পাচ্ছে লাজ।
অমানিশার অন্ধকারে লুটছে ওরা পরের ধন।
সর্বনাশা লােভের পাপে নষ্ট যে হয় সব অর্জন।
আকাশ জুড়ে আনাগোনা ঘন কালাে মেঘমালা
সংশয়ে বুক থরাে থরাে, বিবেক-বােধে তাই জ্বালা!
খােদার আরশ উঠছে কেঁপে মজলুমের ওই ক্রন্দনে
জীবন মরণ বন্দী হেথায় অভিশাপের বন্ধনে।
দেশ ও জাতির এমন দিনে কিশাের যারা, তৈরি হও
সত্য ন্যায়ের ঝাণ্ডা উড়াও- তােমরা জেনাে ক্ষুদ্র নও।
তােমার মাঝে সুপ্ত আছে বীর ওমরের রক্তবীজ
জাগাও তাকে, নাও চিনে নাও বন্ধুবেশী শত্রু, নিজ।
সাহস নিয়ে এগিয়ে চলাে বাতিল হবেই ধূলিসাৎ
ভাের গগনে ফুটবে আলাে, টুটবে ভয়ের তিমির রাত।
তােমার হাতে মুক্তি পাবে মানবতার শ্বেত সনদ
অত্যাচারীর কূট কামনা পারবে তুমি করতে রদ।
দুর্দিনের এই বন্দিশালায় জাগবে প্রাণের মহােৎসব
তােমার ঘৃণায় যাক্ ভেসে যাক্ নমরুদের ওই তুচ্ছ শব।
আর দেরি নয়, কদম কদম সামনে বাড়াে কিশাের ভাই
তােমরা জাতির আশার আলাে, আজ তােমাদের ঐক্য চাই।
ঈদের ছড়া
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদের আনন্দ যেমনি ভাবে বড়দেরকে আনন্দ দেয় তেমনি ছোটদের মাঝেও আনন্দের মহা উৎসব তৈরী করে। আর তারা ঈদের আনন্দে ভালেবাসে নাছতে গাাইতে। ছোটদের ছড়া কবিতা প্রবন্দ্বে ঈদের ছড়া গান তাদের আনন্দকে আরোও বেশী আনন্দময় করে তোলেবে। তাদের আনন্দকে আরো বেশি উৎসাহ দিতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ছোটদের ছড়া কবিতা।
ঈদ
আবুল হােসেন আজাদ
শেষ হলাে সিয়ামের মাস রমজান
হাসি খুশি আনন্দে ভরে ওঠে প্রাণ।
একফালি বাঁকা চাঁদ আকাশের গায়
উঠলাে যে সন্ধ্যায় গােধূলি বেলায়।
এই চাঁদ নিয়ে এলাে খুশি মাখা ঈদ
তাই রাতে ভুলে গেল খােকা-খুকু নিঁদ।
ঈদ মানে আনন্দ খুশির নূপুর
দূর করে ভেদাভেদ প্রাণে এক সুর।
দু’রাকাত ওয়াজিব ঈদের নামাজ
পড়ব সবাই মিলে ঈদগাহে আজ।
তারপর কোলাকুলি মিলে বুকে বুকে
অন্তর ভরে ওঠে অনাবিল সুখে।
ঈদ মানে গীতিময় আলােকিত ভাের
দুঃখকে জয় করা প্রেমপ্রীতি ডাের।
ফিরে এলাে ঈদ
আবদুল কুদুস ফরিদী
শাবানের মাস শেষে এলাে রমজান
শুভ্র শুদ্ধ মনে গােলাবের ঘ্রাণ।
পাপ তাপ গ্লানি সব হয়ে যাবে দূর
রাতভর শুনে যাবাে কুরআনের সুর।
পবিত্র সৌরভে ভরা সারা দিন
কেউ নয় অভিজাত কেউ নয় হীন
দিনভর রােজা রেখে রাতভর খেয়ে
কাটিয়ে দেবাে রাত হামদ-নাত গেয়ে।
সাহরি ও ইফতারে মজা হবে খুব
সৌরভে গৌরবে স্বর্গীয় রূপ।
ইফতার পর এক সাঁঝ আকাশে
ঈদের পহিল চাঁদ মিটমিট হাসে।
বাঁকা চাঁদ হাসি ঠোঁটে
ফিরে এলাে ঈদ
চার দিকে হাসি খুশি
প্রীতি সঙ্গীত।
খুশির ঈদ
মানসুর মুজাম্মিল
খুশির দিন খুশির রাত
ফুরফুরে মন অকস্মাৎ
হেভি মজার খানা-দানা
কী যে খাবাে নেই তাে জানা।
রাস্তাঘাটে হুলস্থুল
শুভেচ্ছাতে পাই যে ফুল।
সবার গায়ে নতুন সাজ
হাসি খুশির ঈদ যে আজ।
ঈদটা হবে তারি
নাসির হেলাল
ঈদের খুশি সবার জন্য
ঈদের খুশি মনে
গরিব-দুঃখীর কথা এখন
ভাবাে মনে মনে।
বছর ভরে নিত্য দিনই
রােজা রাখে যারা
ঈদের খুশি তাদের ঘরে
কেমনে দেবে সাড়া!
ক্ষুৎপিপাসায় কাতর যারা
আগুন জ্বলে পেটে
হাতটা বাড়াও তাদের দিকে
অভাব যেনাে মেটে।
রােজা থেকে ক্ষুধার জ্বালা
বুঝতে যদি পারি
সবার জন্য ঈদটা হবে
ঈদটা হবে তারি।
একফালি বাঁকা চাঁদ
মাহফুজুর রহমান আখন্দ
একফালি বাঁকা চাঁদ পশ্চিমে দোলে
দুঃখটা ভােলে
মুখে হাসি তােলে
একফালি বাঁকা চাঁদ সত্যের গান
ঝলােমলাে প্রাণ
শান্তির ঘ্রাণ
একফালি বাঁকা চাঁদ একতার সুর
আল্লাহর নূর
মনটা মধুর
একফালি বাঁকা চাঁদ আসে ফিরে ফিরে
মানুষের নীড়ে
সফলতা ঘিরে
মেঘেদের নাচানাচি আকাশের গায়ে
তবু চাঁদ উঠে আসে বিশ্বাসী না’য়ে ।
বাঁকা চাঁদের পাল্কি
কামাল হােসাইন
ঈদের খুশি বুকের ভেতর নাচ্ছিলাে
‘রমজানের ওই রােজার শেষে…’
সুর তুলে গান গাচ্ছিলাে।
বাঁকা চাঁদের পাল্কিতে
বাঁধা যেন লাল ফিতে
খুশির পসরা সাজিয়ে এলাে চাঁদটা আজ
ভেঙে দিলাে অন্ধগলির বাঁধটা আজ।
ঈদের খুশি বুকের ভেতর নাচ্ছিলাে
দীর্ঘ একটা মাসের খুশি
এই বুকে তড়পাচ্ছিলাে।
ঈদগাহেতে খুশির ঢল
কোলাকুলি কী নির্মল
বুকের সাথে বুক মেলানাে
আহা কী যে দৃশ্য তার-
এই দিনেতে নেই ব্যবধান
কে যে ধনী নিঃস্ব আর।
ঈদ এলােরে
মুহাযির মােতালেব
ঈদ এলােরে ঈদ এলােরে
এলাে খুশির দিন,
সাজবে সবাই নতুন সাজে
খুশিতে রঙিন।
পায়েস পােলাও সবাই খাবে
দল বেঁধে ঈদগাহে যাবে
বুকের সাথে বুক মিলাবে
হােক সে দীন ও হীন।
খুশির দিনে আজকে সবাই
দৃপ্ত শপথ নাও,
মনের যতাে হিংসা বিভেদ
ঝেড়ে ফেলে দাও।
নিত্য সাথী দুঃখ যাদের
আপন হয়ে যাও গাে তাদের
ধন্য হবে জীবন তবে,
হবে সু-সৌখিন।
চাঁদ উঠেছে
এ কে আজাদ
সন্ধ্যা যখন ঘনিয়ে আসে দূর গেরামের ওপাড়ে
মনের সুখে বাঁশের ঝাড়ে দুলিয়ে যায় খোপা রে
পাখি ডাকে কিচির মিচির আনন্দে রই রই
ঐ আকাশে ঈদের হাসি চাঁদ উঠেছে ঐ ॥
গরিব দুখী আয় না কাছে সুখগুলােকে বিলাই
ভালবাসার মিলন মেলায় বুকেতে বুক মিলাই
কেউ রবে না আজকে দুখী সুখেতে হই চই
ঐ আকাশে ঈদের হাসি চাঁদ উঠেছে ঐ॥
নতুন জামা নতুন কাপড় হরেক রকম খাবার
রমজানেরই শিক্ষা নিয়ে জীবন শুরু আবার
হিংসা বিভেদ আজ ভুলে যাই সুখ নদী থই থই
ঐ আকাশে ঈদের হাসি চাঁদ উঠেছে ঐ॥
ঈদের চাঁদপাখি
রেদওয়ানুল হক
ঈদের চারু চাঁদপাখিটা
কোথায় গেলাে হারিয়ে
বাঁশের বনে কাশের বনে
খুঁজছি দু’চোখ বাড়িয়ে।
কোথায় গেলাে কোথায় গেলাে
চুলের ফিতা নাড়িয়ে
অপেক্ষাতে আছি কখন
বিকেল থেকে দাঁড়িয়ে।
মেঘের পরে মেঘ ভেসে যায়
আশার কুসুম মাড়িয়ে
কোথায় গেলাে চাঁদপাখিটা
কোন গাঁয়ে ঘুম পাড়িয়ে?
একটুখানি উঠলে জেগে
মনের বিবাদ তাড়িয়ে
আকাশ বাতাস ভরবে সুখে
খুশির সীমা ছাড়িয়ে।
ঈদের ছবি
বিলাল হােসাইন নূরী
ঈদের ছবি ফেরেশতাদের ডানায় মােড়া-
খুশির মাঠে হাঁকায় তারা চাঁদের ঘােড়া।
জান্নাতে আজ ঢেউ টলােমল দুধের নদী,
হুর-পরীরা ছড়ায় কেবল ফুলের তােড়া।
বাতাসে আজ ফেরদাউসের সুবাস ঝরে-
সবুজ আশার পাঁপড়ি জাগে মনের চরে।
ঈদ যেন এক ভালােবাসার রঙিন ছাতা-
স্নেহের ছায়া বিছিয়ে দেয় সবার ঘরে।
হাতের সাথে হাত বেঁধেছে প্রীতির লতা-
কণ্ঠে নাচে ‘ঈদ মােবারক’- মধুর কথা।
হৃদয় দিয়ে হৃদয় কেনার উৎসবে আজ-
দোল দিয়ে যায় অনাবিল এক চঞ্চলতা।
ঈদ যেন সব চাওয়া পাওয়ার স্বপ্নমেলা-
ওড়ায় শুধু সাম্য-প্রীতির রেশমি ভেলা।
বুকের সাথে বুক মিলানাের সজীবতায়-
মুগ্ধ মনেই যায় কেটে যায় সারাবেলা।
ঈদ যেন হয় প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাত-
প্রভুর কাছে এই কামনা, এই মুনাজাত।
ঈদের দিনে
ওয়াহিদ আল হাসান
পশ্চিমে উঠেছে আজ
শাওয়াল মাসের চাঁদ,
শিশু যুবক-বৃদ্ধের
ভেঙেছে খুশির বাঁধ।
ভাের হতে ব্যস্ত সবে
নতুন কাপড় পরতে,
মজার স্বাদের খাবার খেয়ে
ছুটছে, নামাজ ধরতে।
নামাজ শেষে কোলাকুলি
সবার সাথে সবার,
বছর শেষে এসেছে ঈদে
খুশির জোয়ার আবার।
গরিব-দুঃখী ছােট বড়
গড়ে সুখের মেলা,
যে আনন্দ দিয়েছেন
স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা।
ঈদের দিনে মিনতি
মহান প্রভুর কাছে,
সারা বছর থাকি যেন
হাসি খুশির মাঝে।
আমার প্রচেষ্টা তখনই সফল হবে, যখন পাঠক এখান থেকে উপকৃত হবে। আমার বিশ্বাস পাঠক যদি উল্লেখিত ছোটদের ছড়া কবিতা ও ঈদের ছড়া গান গুলো সংগ্রহ করে তাদের সোনা-মনিদেরকে মুখে মুখে শিখায় তাহলে শিশুদের মেধার বিকাশ ঘটবে এবং ছোটদের ছড়া কবিতা শিক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে পড়া লেখায় আরো বেশি মনোযোগী করা সম্ভব হবে। ছোটদের ছড়া কবিতা প্রবন্ধে তা খুবই সুন্দর ভাবে আলোচিত হয়েছে।